এই ভালোবাসার শেষ কোথায়?
নবম পর্ব (৯ম পর্ব)
৮ম পর্ব পড়ুন এখানে...
ছেলেঃ হ্যালো...
মেয়েঃ হুম, কী করছো?
ছেলেঃ আমি আবার কী করবো, আমার কথা বাদ দাও। কালকে তোমার বিয়ে, আর এখন বিয়ের প্রস্তুতি না নিয়ে আমাকে কল কেন?
মেয়েঃ কেন! বিয়ে তো কী হয়েছে? তোমাকে কল করা যাবে না?
ছেলেঃ আরে যাবে না কেন, এমনি বললাম আর কি।
মেয়েঃ হুম বুঝি বুঝি, এখনই পরপর ভাবা শুরু করেছো।
ছেলেঃ আপন ভেবে কী হবে! তোমার আপন যে হবে তাকে তো কালকে পেয়ে যাবে।
মেয়েঃ এখনো ঢং করা বাদ দাও বলছি! বিয়ে করলাম না তাই এই অবস্থা। বিয়ে হয়ে গেলে তো জীবনে খোঁজ-ই নিবা না।
ছেলেঃ আমি কী পাগল নাকি, অন্যের বউয়ের খোঁজ নিয়ে তার সংসারে অশান্তি করবো।
মেয়েঃ ধুর, তোমার এসব কথা শুনার জন্য কল করিনি। বাই।। (মেয়েটা কল কেটে দেয়।)
(ছেলেটা ভাবে আজব তো, আমি কী এমন বললাম) কিছুক্ষণ পর মেয়েটা আবার কল করে।
রিসিভ করতেই শুরু.....
মেয়েঃ ওই তোর সমস্যা কী? আমি যে রেগে গিয়ে কল কেটে দিলাম তুই কল ব্যাক করলি না কেন?
ছেলেঃ কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু তুই করে বলছো কেন?
মেয়েঃ কী করবো তা!
ছেলেঃ আমি জানি তুমি রাগ করে বেশিক্ষণ থাকতে পারবে না। ঠিকই আবার কল করবে তাই আমি কল করি নি।
মেয়েঃ হুম, খুব বোঝেন উনি আমাকে। বুঝলে তো আজ এমন হতো না। (বিড়বিড় করে বলে মেয়েটা)
ছেলেঃ কী বিড়বিড় করে বলছো?
মেয়েঃ কিছু না। আচ্ছা তোমার কী আমাকে কিছু বলার আছে?
ছেলেঃ কল করেছো তুমি, কিছু বলার তো তোমার থাকার কথা।
মেয়েঃ আমি কল করেছি বলে তোমার বলার থাকবে না?
ছেলেঃ কী আর বলার থাকবে?
মেয়েঃ ক্যান, কালকে আমার বিয়ে হয়ে যাবে তোমার কী খারাপ লাগছে না? তোমার কষ্ট হচ্ছে না?
ছেলেঃ আজব তো! খারাপ লাগবে বা কেন আর কষ্টই বা লাগবে কেন? এটা তো একটা আনন্দের বিষয়।
মেয়েঃ ওহ, সত্যিই কী খারাপ লাগছে না?
ছেলেঃ না লাগছে না।
মেয়েঃ একটুও মিস করবে না?
ছেলেঃ মিস তো অস্তিত্বহীন মানুষকে কিরা যায়। কিন্তু তোমার অস্তিত্ব এখনো বিদ্যমান। তাই মিস করার প্রশ্নই ওঠে না।
মেয়েঃ যাক ভালো, বুঝেছি।
ছেলেঃ বুঝলেই ভালো।
মেয়েঃ আচ্ছা ভালো থেকো আর হয়তো কখনো কথা হবে না। তুমিও একটা ভালো মেয়ে দেখে বিয়ে করে নিও।
ছেলেঃ হুম ঠিক আছে।
মেয়েঃ রাখছি। (এই বলে মেয়েটা কল কেটে দেয়।কিন্তু ছেলেটা কে তার মনের কথা বলতে পারে না৷ নিজের ভিতর ভালোবাসা লুকিয়ে নিরবে কাঁদতে থাকে।)
শুক্রবার সকাল
মেয়েটা সারারাত না ঘুমিয়ে অঝোরে কেঁদেছে। চেহারা একেবারে ফ্যাকাসে মলিন হয়ে গেছে। বাসার লোকজন বলছে কী রে সারারাত ঘুমাস নি? চেহারার এ কী হাল করেছিস! স্মৃতি কোনো উত্তর দেয় না। বিয়ে বাড়ি
অনেক লোকজন, হাসি উল্লাসে সবাই মেতে আছে। কিন্তু স্মৃতি হাজার লোকের ভীড়েও যেন একা। কাউকে কিছু বলতেও পারছে না আবার ছেলেটাকেও বলতে পারলো না। আজকে অনেকবার সে ছেলেটাকে কল করে। কিন্তু ছেলেটা একবারও কল রিসিভ করে নি। স্মৃতি'র মনে ভালো লাগছে না, কী হলো ওর ফোন তুলছে না কেন? (এভাবে অনেকবার চেষ্টা করেও ছেলেটার সাথে আর যোগাযোগ করতে পারে নি।)
বাবা,, ও বাবা তারপর কী হলো? এ কী বাবা তুমি কাঁদছো কেন?
- কই পগল কাঁদবো কেন? চোখে কী যেন পড়েছে।
- ওহ। বাবা, তারপর কী হয়েছিলো? সেই ছেলেটার কোনো খোঁজ পেয়েছিলো মেয়েটা?
- "স্বপ্ন" তোমার স্কুলের সময় হয়ে গেছে, যাও গুছিয়ে স্কুলে যাও।
- না বাবা, আজকে গল্পটা পুরো শুনবো। প্লিজ বাবা আজকে স্কুলে না যায়? প্লিজ।
- কোনো কথা না, আগে লেখাপড়া তারপর অন্যকিছু। তুমি স্কুল থেকে এলে বাকিটা শোনাবো।
- ওকে বাবা। কিন্তু এইটুকু তো বলো যে, মেয়েটির কী বিয়ে হয়ে গিছিলো?
- হ্যাঁ......... (চলবে)
~ মোঃ শাহারুখ হোসেন
ছেলেঃ হ্যালো...
মেয়েঃ হুম, কী করছো?
ছেলেঃ আমি আবার কী করবো, আমার কথা বাদ দাও। কালকে তোমার বিয়ে, আর এখন বিয়ের প্রস্তুতি না নিয়ে আমাকে কল কেন?
মেয়েঃ কেন! বিয়ে তো কী হয়েছে? তোমাকে কল করা যাবে না?
ছেলেঃ আরে যাবে না কেন, এমনি বললাম আর কি।
মেয়েঃ হুম বুঝি বুঝি, এখনই পরপর ভাবা শুরু করেছো।
ছেলেঃ আপন ভেবে কী হবে! তোমার আপন যে হবে তাকে তো কালকে পেয়ে যাবে।
মেয়েঃ এখনো ঢং করা বাদ দাও বলছি! বিয়ে করলাম না তাই এই অবস্থা। বিয়ে হয়ে গেলে তো জীবনে খোঁজ-ই নিবা না।
ছেলেঃ আমি কী পাগল নাকি, অন্যের বউয়ের খোঁজ নিয়ে তার সংসারে অশান্তি করবো।
মেয়েঃ ধুর, তোমার এসব কথা শুনার জন্য কল করিনি। বাই।। (মেয়েটা কল কেটে দেয়।)
(ছেলেটা ভাবে আজব তো, আমি কী এমন বললাম) কিছুক্ষণ পর মেয়েটা আবার কল করে।
রিসিভ করতেই শুরু.....
মেয়েঃ ওই তোর সমস্যা কী? আমি যে রেগে গিয়ে কল কেটে দিলাম তুই কল ব্যাক করলি না কেন?
ছেলেঃ কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু তুই করে বলছো কেন?
মেয়েঃ কী করবো তা!
ছেলেঃ আমি জানি তুমি রাগ করে বেশিক্ষণ থাকতে পারবে না। ঠিকই আবার কল করবে তাই আমি কল করি নি।
মেয়েঃ হুম, খুব বোঝেন উনি আমাকে। বুঝলে তো আজ এমন হতো না। (বিড়বিড় করে বলে মেয়েটা)
ছেলেঃ কী বিড়বিড় করে বলছো?
মেয়েঃ কিছু না। আচ্ছা তোমার কী আমাকে কিছু বলার আছে?
ছেলেঃ কল করেছো তুমি, কিছু বলার তো তোমার থাকার কথা।
মেয়েঃ আমি কল করেছি বলে তোমার বলার থাকবে না?
ছেলেঃ কী আর বলার থাকবে?
মেয়েঃ ক্যান, কালকে আমার বিয়ে হয়ে যাবে তোমার কী খারাপ লাগছে না? তোমার কষ্ট হচ্ছে না?
ছেলেঃ আজব তো! খারাপ লাগবে বা কেন আর কষ্টই বা লাগবে কেন? এটা তো একটা আনন্দের বিষয়।
মেয়েঃ ওহ, সত্যিই কী খারাপ লাগছে না?
ছেলেঃ না লাগছে না।
মেয়েঃ একটুও মিস করবে না?
ছেলেঃ মিস তো অস্তিত্বহীন মানুষকে কিরা যায়। কিন্তু তোমার অস্তিত্ব এখনো বিদ্যমান। তাই মিস করার প্রশ্নই ওঠে না।
মেয়েঃ যাক ভালো, বুঝেছি।
ছেলেঃ বুঝলেই ভালো।
মেয়েঃ আচ্ছা ভালো থেকো আর হয়তো কখনো কথা হবে না। তুমিও একটা ভালো মেয়ে দেখে বিয়ে করে নিও।
ছেলেঃ হুম ঠিক আছে।
মেয়েঃ রাখছি। (এই বলে মেয়েটা কল কেটে দেয়।কিন্তু ছেলেটা কে তার মনের কথা বলতে পারে না৷ নিজের ভিতর ভালোবাসা লুকিয়ে নিরবে কাঁদতে থাকে।)
শুক্রবার সকাল
মেয়েটা সারারাত না ঘুমিয়ে অঝোরে কেঁদেছে। চেহারা একেবারে ফ্যাকাসে মলিন হয়ে গেছে। বাসার লোকজন বলছে কী রে সারারাত ঘুমাস নি? চেহারার এ কী হাল করেছিস! স্মৃতি কোনো উত্তর দেয় না। বিয়ে বাড়ি
অনেক লোকজন, হাসি উল্লাসে সবাই মেতে আছে। কিন্তু স্মৃতি হাজার লোকের ভীড়েও যেন একা। কাউকে কিছু বলতেও পারছে না আবার ছেলেটাকেও বলতে পারলো না। আজকে অনেকবার সে ছেলেটাকে কল করে। কিন্তু ছেলেটা একবারও কল রিসিভ করে নি। স্মৃতি'র মনে ভালো লাগছে না, কী হলো ওর ফোন তুলছে না কেন? (এভাবে অনেকবার চেষ্টা করেও ছেলেটার সাথে আর যোগাযোগ করতে পারে নি।)
বাবা,, ও বাবা তারপর কী হলো? এ কী বাবা তুমি কাঁদছো কেন?
- কই পগল কাঁদবো কেন? চোখে কী যেন পড়েছে।
- ওহ। বাবা, তারপর কী হয়েছিলো? সেই ছেলেটার কোনো খোঁজ পেয়েছিলো মেয়েটা?
- "স্বপ্ন" তোমার স্কুলের সময় হয়ে গেছে, যাও গুছিয়ে স্কুলে যাও।
- না বাবা, আজকে গল্পটা পুরো শুনবো। প্লিজ বাবা আজকে স্কুলে না যায়? প্লিজ।
- কোনো কথা না, আগে লেখাপড়া তারপর অন্যকিছু। তুমি স্কুল থেকে এলে বাকিটা শোনাবো।
- ওকে বাবা। কিন্তু এইটুকু তো বলো যে, মেয়েটির কী বিয়ে হয়ে গিছিলো?
- হ্যাঁ......... (চলবে)
~ মোঃ শাহারুখ হোসেন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন