এই ভালোবাসার শেষ কোথায়?
৩য় পর্ব
ছেলেটা কল রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে কান্নার শব্দ। মেয়েটা কিছু না বলে অঝোরে কেঁদেই চলেছে। ছেলেটা কিছুই বুঝতে পারছে না কি হলো তার। ছেলেটা বলা শুরু,, আরে কী হয়েছে? আপনি কাঁদছেন কেন? আমাকে বলেন, কান্না থামান প্লিজ।।
মেয়েঃ কান্না কণ্ঠে, আমাকে মাফ করে দিয়েন ভাইয়া।
ছেলেঃ মাফ চাচ্ছেন কেন? আপনি তো আমার কাছে কোনো অন্যায় করেন নি। আর আমার আপনার ওপর কোনো রাগ বা অভিযোগও নেই।
মেয়েঃ আপনি আমাকে মাফ করে দিয়েন। আমি আইডি ডিএক্টিভ করছি আর কোনোদিন কথা হবে না।
ছেলেঃ আজব তো! কী হয়েছে সেটা আগে বলুন। কান্না থামান, আগে সব খুলে বলুন। তারপর যা করার করবেন।
মেয়েঃ ভাইয়া আমি সুইসাইড করবো, আমি আর বাঁচতে চাই না। (বলেই আবার কান্না শুরু)
ছেলেঃ কী!!!!! আপনার মাথা ঠিক আছে? কী সব বলছেন, কী এমন হয়েছে যে আত্মহত্যা করতে হবে?
মেয়েঃ আমি সোহাগ কে ছাড়া বাঁঁচবো না,😭😭 আমি ওকেই চাই😭😭
ছেলেঃ বাঁচা মরা পরে দেখা যাবে, এই সোহাগ আবার কে?
মেয়েঃ আমার বয়ফ্রেন্ড, ওর নাম সোহাগ।
ছেলেঃ ওহ বুঝলাম! তা আপনাকে কী এখন আদর সোহাগ করছে না? ঝগড়া হয়েছে?
মেয়েঃ ভাইয়া,, বলে মেয়েটা হালকা হেসে ফেললো। মানে কাঁদতে কাঁদতে হাসলে যেমন হয় আর কী।
ছেলেঃ এই তো লক্ষী মেয়ে। এতো সুন্দর পরীর মতো মেয়ে কাঁদলে মানায় নাকি!
মেয়েঃ ভাইয়া,, আমি লক্ষী ও না পরী ও না। আমি স্মৃতি।
ছেলেঃ হ্যাঁ জানি তো..... (শুনার আগেই মেয়েটা কল কেটে দিলো।)
মেয়েঃ কান্না কণ্ঠে, আমাকে মাফ করে দিয়েন ভাইয়া।
ছেলেঃ মাফ চাচ্ছেন কেন? আপনি তো আমার কাছে কোনো অন্যায় করেন নি। আর আমার আপনার ওপর কোনো রাগ বা অভিযোগও নেই।
মেয়েঃ আপনি আমাকে মাফ করে দিয়েন। আমি আইডি ডিএক্টিভ করছি আর কোনোদিন কথা হবে না।
ছেলেঃ আজব তো! কী হয়েছে সেটা আগে বলুন। কান্না থামান, আগে সব খুলে বলুন। তারপর যা করার করবেন।
মেয়েঃ ভাইয়া আমি সুইসাইড করবো, আমি আর বাঁচতে চাই না। (বলেই আবার কান্না শুরু)
ছেলেঃ কী!!!!! আপনার মাথা ঠিক আছে? কী সব বলছেন, কী এমন হয়েছে যে আত্মহত্যা করতে হবে?
মেয়েঃ আমি সোহাগ কে ছাড়া বাঁঁচবো না,😭😭 আমি ওকেই চাই😭😭
ছেলেঃ বাঁচা মরা পরে দেখা যাবে, এই সোহাগ আবার কে?
মেয়েঃ আমার বয়ফ্রেন্ড, ওর নাম সোহাগ।
ছেলেঃ ওহ বুঝলাম! তা আপনাকে কী এখন আদর সোহাগ করছে না? ঝগড়া হয়েছে?
মেয়েঃ ভাইয়া,, বলে মেয়েটা হালকা হেসে ফেললো। মানে কাঁদতে কাঁদতে হাসলে যেমন হয় আর কী।
ছেলেঃ এই তো লক্ষী মেয়ে। এতো সুন্দর পরীর মতো মেয়ে কাঁদলে মানায় নাকি!
মেয়েঃ ভাইয়া,, আমি লক্ষী ও না পরী ও না। আমি স্মৃতি।
ছেলেঃ হ্যাঁ জানি তো..... (শুনার আগেই মেয়েটা কল কেটে দিলো।)
ছেলেটা ভাবে হয়তো নেটওয়ার্ক প্রবলেম, তাই কলটা কেটে গেছে। সে আবার কল দিয়ে এনাদার কল পেলো। (অন্য কারো সাথে কথা বলছে।)
ছেলেটা মেয়েটাকে নিয়ে ভাবছে, 🤔 মেয়েটা অনেক সহজ সরল। মনে যা আসে তাই বলে ফেলে, কে কী ভাবলো কিছুই ভাবে না৷ অনেক আবেগী, জানি না কোন ছেলের খপ্পরে পড়েছে। কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে যেন। (মনে মনে এগুলো ভাবছে তখনই মেসেঞ্জারে মেয়েটার কল।)
ছেলেঃ রিসিভ করে হ্যালো।
মেয়েঃ সরি সরি সরি ভাইয়া প্লিজ কিছু মনে করেন না।
ছেলেঃ আচ্ছা হয়েছে এতো সরি বলতে হবে না। (মেয়েটা এখন অনেক খুশি মনে হচ্ছে।)
মেয়েঃ আসলে ভাইয়া সোহাগ কল দিছিলো, এজন্য আপনার কল কেটে দিছিলাম।
ছেলেঃ হ্যাঁ ওটা না বললেও বুঝেছি, এজন্য এতো খুশি। তা কারণ কী! একটু আগে মরে যাবো বলে কান্না জুড়েছিলেন, এখন হাসির রহস্যটা কী বলা যাবে?
মেয়েঃ অন্য কোনোদিন বলবো। এখন শুধু এইটুকু জেনে রাখেন ওর সাথে ঝামেলা হয়েছিলো একটা বিষয় নিয়ে এখন কল করে সরি বললো, অনেক মাফ চাইলো তারপর মাফ করে দিছি☺☺☺
ছেলেঃ ওহ আচ্ছা।
মেয়েঃ আচ্ছা ভাইয়া এখন বাই,, ও আবার কল দিচ্ছে। এনাদার কল পেলে আবার প্রবলেম হবে। (বলেই কলটা কেটে দিলো।)
ছেলেটা মেয়েটাকে নিয়ে ভাবছে, 🤔 মেয়েটা অনেক সহজ সরল। মনে যা আসে তাই বলে ফেলে, কে কী ভাবলো কিছুই ভাবে না৷ অনেক আবেগী, জানি না কোন ছেলের খপ্পরে পড়েছে। কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে যেন। (মনে মনে এগুলো ভাবছে তখনই মেসেঞ্জারে মেয়েটার কল।)
ছেলেঃ রিসিভ করে হ্যালো।
মেয়েঃ সরি সরি সরি ভাইয়া প্লিজ কিছু মনে করেন না।
ছেলেঃ আচ্ছা হয়েছে এতো সরি বলতে হবে না। (মেয়েটা এখন অনেক খুশি মনে হচ্ছে।)
মেয়েঃ আসলে ভাইয়া সোহাগ কল দিছিলো, এজন্য আপনার কল কেটে দিছিলাম।
ছেলেঃ হ্যাঁ ওটা না বললেও বুঝেছি, এজন্য এতো খুশি। তা কারণ কী! একটু আগে মরে যাবো বলে কান্না জুড়েছিলেন, এখন হাসির রহস্যটা কী বলা যাবে?
মেয়েঃ অন্য কোনোদিন বলবো। এখন শুধু এইটুকু জেনে রাখেন ওর সাথে ঝামেলা হয়েছিলো একটা বিষয় নিয়ে এখন কল করে সরি বললো, অনেক মাফ চাইলো তারপর মাফ করে দিছি☺☺☺
ছেলেঃ ওহ আচ্ছা।
মেয়েঃ আচ্ছা ভাইয়া এখন বাই,, ও আবার কল দিচ্ছে। এনাদার কল পেলে আবার প্রবলেম হবে। (বলেই কলটা কেটে দিলো।)
ছেলেটা ভাবছে কী অদ্ভুত স্বভাবের হয় মেয়েরা! এই কিছুক্ষণ আগেও কষ্টে সুইসাইড করবে বলছিলো আবার এখনই সব ভুলে হাসছে। ☺ আসলে মেয়েদের খুশি করতে বা হতে খুব বেশি কিছু লাগে না। (এসব মনে মনে ভাবছে আর হাসছে ছেলেটা।)
তবে ছেলেটা বুঝতে পারে হয়তো তার সাথে কথা বলে বলে মেয়েটার বয়ফ্রেন্ড এর সাথে ঝামেলা হচ্ছে। সে হয়তো কথা বলা পছন্দ করে না, এসবই হবে তাই আমাকে বললো না। (ছেলেটা অফলাইনে চলে যায়।)
তবে ছেলেটা বুঝতে পারে হয়তো তার সাথে কথা বলে বলে মেয়েটার বয়ফ্রেন্ড এর সাথে ঝামেলা হচ্ছে। সে হয়তো কথা বলা পছন্দ করে না, এসবই হবে তাই আমাকে বললো না। (ছেলেটা অফলাইনে চলে যায়।)
পরেরদিন অনলাইনে এসে দেখে মেয়েটার অনেকগুলো এসএমএস কল। আর দেখে মেয়েটা ৬ ঘণ্টা আগে এক্টিভ ছিলো। কি জন্য এতোবার কল দিছিলো! খুব টেনশনে পড়ে ছেলেটা। মেয়েটির ফোন নাম্বার বা অন্যকোনো উপায়ও নেই যোগাযোগের। সকাল, দুপুর, রাত পেরিয়ে এলো কিন্তু মেয়েটা আর অনলাইনে আসে না। ছেলেটা নিজেকে অনেক দোষী মনে করতে থাকে। কেন তখন অনলাইনে ছিলাম না! কেন ওনার কল মেসেজ দেখতে পারলাম না! কী বলতে চেয়েছিলো আমাকে? (এসব মনে মনে ভাবছে।)
এভাবে ৩ দিন পার হয়ে গেলো মেয়েটা অনলাইনে আসে না আর কোনো খোঁজও নেই। হঠাৎ মেয়েটার নামের পাশে সবুজ বাতি দেখেই ছেলেটা কল দিলো....মেয়েটা সাথে সাথেই রিসিভ করলো
মেয়েঃ হ্যালো..
ছেলেঃ হ্যালো..আপনি কোথায় ছিলেন? অনলাইনে আসেন নি কেন? কী হয়েছিলো আপনার? আমাকে ওতবার কল দিছেলেন কেন????
মেয়েঃ এতো প্রশ্ন একবারে?? আমি হাসপাতালে ছিলাম...
ছেলেঃ কী!!!!!! হাসপাতালে কেন?? (চলবে...)
এভাবে ৩ দিন পার হয়ে গেলো মেয়েটা অনলাইনে আসে না আর কোনো খোঁজও নেই। হঠাৎ মেয়েটার নামের পাশে সবুজ বাতি দেখেই ছেলেটা কল দিলো....মেয়েটা সাথে সাথেই রিসিভ করলো
মেয়েঃ হ্যালো..
ছেলেঃ হ্যালো..আপনি কোথায় ছিলেন? অনলাইনে আসেন নি কেন? কী হয়েছিলো আপনার? আমাকে ওতবার কল দিছেলেন কেন????
মেয়েঃ এতো প্রশ্ন একবারে?? আমি হাসপাতালে ছিলাম...
ছেলেঃ কী!!!!!! হাসপাতালে কেন?? (চলবে...)
~ মোঃ শাহারুখ হোসেন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন