Welcome To My Official Blog Site

নতুন নতুন সব আপডেট পেতে আমাদের সাইটের সাথেই থাকুন। আর কোন সমস্যা হলে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করবেন www.facebook.com/ShaharukhOfficial

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০২০

এই ভালোবাসার শেষ কোথায়? ৪র্থ পর্ব ~ মোঃ শাহারুখ হোসেন

এই ভালোবাসার শেষ কোথায়?
৪র্থ পর্ব
মেয়েঃ আমি সুইসাইড এটেন্ড করেছিলাম, অনেকগুলো ঘুমের ট্যাবলেট খেয়েছিলাম। তারপর বাসার সবাই আমাকে নিয়ে হাসপাতালে যায়। ৩ দিন ছিলাম সেখানে।
ছেলেঃ এখন কেমন আছেন?
মেয়েঃ জ্বি এখন মোটামুটি সুস্থ। আপনার কী খবর?
ছেলেঃ আমার খবর পরে বলছি‌, আগে ঘটনা সব খুলে বলো।
মেয়েঃ কল দি??
ছেলেঃ হ্যাঁ সেটাই ভালো হবে, সব মেসেজ এ লিখে বলা বা বোঝানো যায় না।
(মেয়েটা কল দিলো ছেলেটা রিসিভ করলো।)
ছেলেঃ হ্যালো, শুনতে পাচ্ছেন?
মেয়েঃ হ্যাঁ পাচ্ছি, আপনি?
ছেলেঃ হ্যাঁ আমিও পাচ্ছি, এবার বলেন কী ঘটনা!
মেয়েঃ আসলে কী বলবো ভাইয়া, লাস্ট আপনার সাথে যখন কথা হয়েছিলো তখন বলেছিলাম না আমাদের মাঝে একটা বিষয় নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে?
ছেলেঃ হ্যাঁ বলেছিলেন যে পরে বলবেন।
মেয়েঃ ওইতো, ঝামেলা বলেন আর সন্দেহ বলেন সেটা ছিলেন আপনি।
ছেলেঃ কী! আমি?
মেয়েঃ হ্যাঁ, ও আপনাকে সহ্য করতে পারতো না। ও আমাকে আপনার সাথে কথা বলা তো দূরে থাক যোগাযোগ করতেও নিষেধ করেছিলো। কিন্তু আমি ওর কথা শুনিনি, আমি ওকে বলেছিলাম যে আপনি আমার খুব ভালো ফ্রেন্ড। আপনার সাথে অনেক আগে থেকে পরিচয়, আমার সব কথা শেয়ার করি। কিন্তু ও আমাকে আর আপনাকে নিয়ে অনেক বাজে বাজে কথা বলেছিলো।
ছেলেঃ এসব কথা আগে বলেন নি কেন? বললে তো আমি আপনার সাথে যোগাযোগ রাখতাম না। শুধু শুধু আমার জন্য আপনাদের সম্পর্কটা নষ্ট হবে কেন! (ছেলেটা নিজেকে অপরাধী মনে করে।)
মেয়েঃ কেন ওর সবকথা আমার শুনতে হবে? রিলেশন করেছি বলে কী আমার কোনো বন্ধু থাকতে পারবে না? আমার কোনো স্বাধীনতা নেই?
ছেলেঃ সব ঠিক আছে, কিন্তু আমার কারণে আপনাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে, আপনি সুইসাইড এটেন্ড করেছিলেন...যদি কিছু হয়ে যেতো! আমি নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারতাম না (একথা বলেই ছেলেটা কল কেটে দিলো....

মেয়েটা আবার কল দিলো ছেলেটা রিসিভ করলো।
মেয়েঃ হ্যালো, কী ব্যাপার! আপনি কল কাটলেন কেন? আর নিজেকে অপরাধী ভাবছেন কেন? আপনার জন্য আমি এসব করিনি। আরো অনেক কারণ আছে।
ছেলেঃ আমার জন্যই তো, অন্য আবার কী কারণ?
মেয়েঃ ও আমাকে যেসব নোংরা কথা বলেছে তা হয়তো কেউ তার ভালোবাসার মানুষকে বলে না। আমাকে তুই তুকারি করে কথা বলে, বলে তোর কয়টা লাগে? আমাকে দিয়ে তোর হয় না? আমি থাকতে তোর ওই ছেলের সাথে কিসের কথা? আরো অনেক বাজে বাজে কথা বলেছে যা আমি আপনাকে বলতে পারবো না। (মেয়েটা বলতে গিয়ে কান্না করে ফেললো।)
ছেলেঃ আরে কাঁদছেন কেন, প্লিজ কাঁদবেন না!
মেয়েঃ না কাঁদছি না, কার জন্য কাঁদবো? ও আমাকে বলে আমি নাকি নষ্ট মেয়ে! আমি নাকি সব ছেলেদের সাথে প্রেমের অভিনয় করি, সবার জীবন নষ্ট করি, একজনে আমার নাকি.... ছি এতো নোংরা মানসিকতা ওর। আমার ভবতেই ঘেন্না হচ্ছে যে ওর মতো ছেলেকে ভালোবেসেছিলাম, ওকে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখছিলাম।
ছেলেঃ এই সিচুয়েশনে আমার কী বলা উচিত বুঝতে পারছি না। আমি প্রথমেই আপনাকে বোঝাতে চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আপনি বললেন ছেলেটা অনেক ভালো, ভদ্র, ইনোসেন্ট। তাই আর কিছু বলিনি।
মেয়েঃ আমি তো বুঝতে পারিনি।
ছেলেঃ এটাই তো বর্তমানে আমাদের সবচেয়ে বড় ভুল। কিছু না জেনে, যাচাই বাছাই না করে দুদিন ফেসবুকে কথা বলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলি। একবারও ভাবি না যে সে মানুষ হিসেবে কেমন! ফেসবুকে যেমন নিজেকে দেখাই আদৌও কী সে বাস্তবে এমন? এমন প্রশ্নের উত্তর কখনো খুঁজে দেখি না। যার শেষ পরিণতি অনেক খারাপ হয়, সম্পর্ক তো স্থায়ী হয়ই না বরং কারো কারো জীবন নষ্ট হয়ে যায়। একটু যারা বেশি আবেগী হয় তারা অল্পতেই গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে যায়, পরে হয় সুইসাইড করে না হয় সারাজীবন বুকে কষ্ট দাবিয়ে অর্ধমৃত বেঁচে থাকে।
(কলটা কেটে যায়।)

প্রায় ২০ মিনিট পরে মেয়েটা আবার কল করে।
ছেলেঃ হ্যালো।
মেয়েঃ হ্যালো।। আম্মু আসছিলো আমাকে ওষুধ খাওয়াতে তাই কেটে দিছিলাম।
ছেলেঃ ঠিক আছে। তা আমাকে ওতবার কল কেন দিছিলেন???
মেয়েঃ সুইসাইড করার আগে আপনাকে সব বলতে চেয়েছিলাম।
ছেলেঃ কি বলতে চেয়েছিলেন?
মেয়েঃ ওহ আমার সাথে চিট করেছে, আমাকে ঠকিয়েছে।। আমার সাথে......(চলবে)

~ মোঃ শাহারুখ হোসেন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন